Rabindranath Tagore Jayanti Anchoring Script in Bengali

Anchoring

স্বাগত বক্তব্য

সুপ্রভাত সকলকে। আমাদের আজকের “Rabindranath Tagore Jayanti” এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমস্ত শ্রদ্ধেয় অতিথি, সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ, প্রিয় সহপাঠী ও বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্বাগত।

আজকের দিনটি আমাদের সকলের জন্য খুব গর্বের। আজ আমরা এক মহান ব্যক্তিত্বের জন্মদিন উদযাপন করতে এখানে একত্র হয়েছি। তিনি আমাদের প্রাণের কবি — বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি শুধু কবি নন, তিনি ছিলেন একাধারে নাট্যকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, শিক্ষাবিদ এবং দার্শনিক।

তিনি লিখেছেন আমাদের জাতীয় সংগীত “জন গণ মন”, এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা”। তিনি প্রথম এশীয় যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯১৩ সালে, তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য।

এই মহান মানুষটির স্মৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ আমরা এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই অনুষ্ঠানে আমরা তাঁর রচিত গান, কবিতা, নাটক ও নৃত্যের মাধ্যমে আমাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাবো।

এখন আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আমাদের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা মহাশয়/মহাশয়াকে মঞ্চে এসে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সূচনা করার জন্য।

(প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য শেষে)

ধন্যবাদ স্যার/ম্যাডাম, আপনার সুন্দর কথা আমাদের অনুপ্রাণিত করলো।

চলুন তবে শুরু করি আমাদের অনুষ্ঠান — কবিগুরুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে আমাদের এই নিবেদন।


প্রথম পরিবেশনা: রবীন্দ্রসংগীত

এখন আমরা শুনবো একটি রবীন্দ্রসংগীত। এই গানটিতে রয়েছে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মানুষের মন। মঞ্চে আসছে আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রী/ছাত্রীরা। তারা পরিবেশন করবে “আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে”।

(গান শেষে)

কি মধুর কণ্ঠে গাইল ওরা! আমাদের সকলের মন ভরে গেল। ধন্যবাদ তোমাদের।


দ্বিতীয় পরিবেশনা: কবিতা আবৃত্তি

এবার শুনবো কবিগুরুর একটি বিখ্যাত কবিতা — “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির”। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, এটি একটি দার্শনিক ভাবনা। আসুন, উপভোগ করি।

(আবৃত্তি শেষে)

খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করলে তুমি। কণ্ঠে ছিল স্পষ্টতা, আবেগ ও গভীরতা।


তৃতীয় পরিবেশনা: রবীন্দ্রনৃত্য

এবার মঞ্চে আসছে আমাদের ছোট ছোট ছাত্রীদের একটি নৃত্য পরিবেশনা। গানটি হলো “ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে”। গানটির মাধ্যমে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। চলুন দেখি ওরা কিভাবে এটি ফুটিয়ে তোলে।

(নৃত্য শেষে)

কি অপূর্ব নৃত্য! চোখে যেন শান্তি ও আনন্দ। ধন্যবাদ তোমাদের।


চতুর্থ পরিবেশনা: ছোট নাটক ‘কাবুলিওয়ালা’

এবার আমরা উপভোগ করবো একটি ছোট নাটক — ‘কাবুলিওয়ালা’। এটি কবিগুরুর একটি জনপ্রিয় ছোটগল্প। একটি ছোট মেয়ের সঙ্গে এক আফগান বিক্রেতার বন্ধুত্বের কাহিনী। আসুন উপভোগ করি।

(নাটক শেষে)

অসাধারণ অভিনয় করেছো সবাই। খুব আবেগঘন পরিবেশনা ছিল এটা।


পঞ্চম পরিবেশনা: দলীয় গান ‘আমার সোনার বাংলা’

এখন মঞ্চে আসছে আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি দলীয় সংগীত পরিবেশনা — “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”। গানের মাধ্যমে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পাবে।

(গান শেষে)

অনেক সুন্দর গাইল সবাই। দেশপ্রেমে ভরা এই গান শুনে সত্যিই মন ভালো হয়ে গেল।


ষষ্ঠ পরিবেশনা: রবীন্দ্রনাথের উপর বক্তৃতা

এবার আমরা শুনবো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও কীর্তি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা। একজন শিক্ষার্থী আমাদের সামনে এই বক্তব্য রাখবে।

(বক্তৃতা শেষে)

তোমার বলা প্রতিটি তথ্য খুব পরিষ্কার এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছো। অনেক কিছু জানলাম আমরা।


সপ্তম পরিবেশনা: নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’

এবার আমাদের অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পরিবেশনা — ‘চিত্রাঙ্গদা’ থেকে একটি অংশ। এটি কবিগুরুর লেখা এক বিখ্যাত নৃত্যনাট্য। আমাদের ছাত্রী/ছাত্রীরা অনেক পরিশ্রম করেছে এই পরিবেশনার জন্য। তাদের উৎসাহ দিতে সবাই করতালি দিন।

(নৃত্যনাট্য শেষে)

কি অপূর্ব দৃশ্য ছিল! সাজসজ্জা, গান, অভিনয় সব মিলিয়ে এক অনন্য পরিবেশনা। ধন্যবাদ তোমাদের।


বিশেষ পরিবেশনা: শিক্ষকদের রবীন্দ্রসংগীত

এবার আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মঞ্চে এসে একটি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করবেন। এটা আমাদের জন্য খুব গর্বের মুহূর্ত। চলুন উপভোগ করি।

(পরিবেশনা শেষে)

কি মধুর পরিবেশনা! আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে এই উপহার সত্যিই আমাদের স্মরণীয় করে রাখবে।


দর্শক প্রশ্নোত্তর পর্ব

এখন একটু আনন্দের পর্ব — আমি আপনাদের কিছু সহজ প্রশ্ন করবো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে। যারা সঠিক উত্তর দেবে, তারা পাবে ছোট উপহার।

(২-৩টি প্রশ্ন করা ও উপহার বিতরণ)

আপনারা দারুণভাবে অংশগ্রহণ করলেন। ধন্যবাদ সবাইকে।


সম্বর্ধনা প্রদান

এখন আমরা আমাদের অতিথিদের সম্মান জানাতে চাই। আমাদের স্কুলের পক্ষ থেকে একটি ছোট উপহার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হবে।

(সম্বর্ধনা শেষে)

আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুষ্ঠানকে আরও গৌরবান্বিত করেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।


শেষ দুটি পরিবেশনা

এখন আমাদের শেষ দুটি পরিবেশনা।

প্রথমে “একলা চলো রে” কবিতার দলীয় আবৃত্তি।

(শেষে)

এবং শেষ পরিবেশনা — “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে” গানের উপর একটি দলীয় নৃত্য।

(শেষে)

কি চমৎকার সমাপ্তি হলো! ধন্যবাদ আমাদের শেষ পরিবেশকদের।


সমাপ্তি ভাষণ

আজকের এই বিশেষ দিনে আমরা সবাই মিলে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানালাম। তাঁর গান, কবিতা, নাটক, বক্তৃতা — সবকিছুই আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেল।

তিনি আমাদের শেখান — সৌন্দর্যকে ভালোবাসতে, প্রকৃতিকে ভালোবাসতে, আর সবার জন্য মমতা রাখতে।

এই অনুষ্ঠানের জন্য যাঁরা পরিশ্রম করেছেন — ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মী সবাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাদের ছাড়া এই অনুষ্ঠান সম্ভব ছিল না।

সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা। আগামী বছর আবার এই মঞ্চে আমরা একসাথে হবো — কবিগুরুর আলোয় আবার আলোকিত হবো।

শুভেচ্ছা রইল। রবীন্দ্রজয়ন্তী মোবারক। জয় রবীন্দ্রনাথ। জয় বাংলা। ধন্যবাদ।


Share This Article