স্বাগত বক্তব্য – অনুষ্ঠানের সূচনা!
অ্যাঙ্কর:
“সবাইকে সুপ্রভাত! বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখের এই শুভ উপলক্ষ্যে আপনাদের সকলকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে স্বাগত জানাচ্ছি! আজকের দিনটি আনন্দের, নতুন শুরুয়াতের এবং উৎসবের দিন। ছোট-বড় সকলের জন্যই আজ হাসি, গান, নাচ আর বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে উপভোগ করার দিন।”
“অনুষ্ঠান শুরু করার আগে আসুন আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই যিনি আমাদের সকলকে এই বিশেষ দিনে একত্রিত করেছেন। সেইসাথে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করি যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।”
“আজকের অনুষ্ঠানে রয়েছে গান, নাচ, কবিতা আরো কত কী মজার মজার সব আয়োজন! তাই বসে না থেকে, সকলে উৎসাহ নিয়ে আজকের অনুষ্ঠান উপভোগ করুন! চলুন, এই পয়লা বৈশাখকে স্মরণীয় করে তুলি!”
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান – গান, নাচ ও আরো অনেক কিছু!
অ্যাঙ্কর:
“গান-নাচ ছাড়া বাংলার উৎসব কি হয়? আমাদের সংস্কৃতি যেন প্রাণে ভরপুর, আর আজ আমাদের প্রতিভাবান শিল্পীরা তা প্রমাণ করবে!”
“প্রথমে, আমরা শুনবো [নাম]-এর কণ্ঠে একটি মনমুগ্ধকর রবীন্দ্রসংগীত। এই গানটি আমাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য ও নতুন শুরুয়াতের কথা মনে করিয়ে দেবে। সবাই করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানাই!”
(রবীন্দ্রসংগীত শেষে)
“ওয়াহ! কি অসাধারণ উপস্থাপনা! সঙ্গীত সত্যিই মানুষকে একত্রিত করে, তাই না?”
“এবার, প্রস্তুত থাকুন বাংলার জনপ্রিয় লোকগীতি ‘হায়রে হায়রে বৈশাখ’-এর উপর একটি প্রাণবন্ত নৃত্য পরিবেশনের জন্য। আমাদের নৃত্যশিল্পীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাই আসুন তাদের জন্য জোরে হাততালি দেই!”
(নৃত্য শেষে)
“অসাধারণ! এত এনার্জি! এখন কে কে মজার কিছু খেলার জন্য প্রস্তুত?”
মজার খেলা ও দর্শকদের অংশগ্রহণ
অ্যাঙ্কর:
“উৎসব মানেই তো কিছু মজার খেলা! আমি দর্শকদের মধ্য থেকে পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবক চাই। কে কে অংশ নিতে চান?”
(দর্শকদের নির্বাচন করে ‘বাংলা গানের সাথে মিউজিক্যাল চেয়ার’ বা ‘বাংলা প্রবাদ বাক্য অনুমান’ করার মতো সহজ খেলা খেলুন।)
“বিজয়ীকে অভিনন্দন! আপনি অসাধারণ ছিলেন! আপনার জন্য একটি ছোট উপহার!”
ছোট গল্প – পয়লা বৈশাখের ইতিহাস
অ্যাঙ্কর:
“এবার আমি আপনাদের একটি ছোট গল্প বলবো, আমরা কেন পয়লা বৈশাখ উদযাপন করি। পয়লা বৈশাখ মানে বাংলা বছরের প্রথম দিন। প্রায় ৪০০ বছর আগে মুঘল সম্রাট আকবর কৃষিকাজ ও রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সন চালু করেন। এই নতুন বছরের সূচনাই হলো পয়লা বৈশাখ – যা শুধু একটি তারিখ নয়, বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর নতুন আশার প্রতীক।
এই দিনে আমরা নতুন জামা পরি, মিষ্টি খাই, হালখাতা করি আর সবার সঙ্গে মিলেমিশে উৎসব করি। এটি আমাদের অতীতকে স্মরণ করে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার দিন। পয়লা বৈশাখ আসলে বাঙালির প্রাণের উৎসব!”
কবিতা আবৃত্তি – “নববর্ষ, নতুন আশা”
অ্যাঙ্কর:
“কবিতা ছাড়া বাংলার উৎসব কি সম্পূর্ণ হয়? এবার শুনবো নতুন বছরের আশা ও স্বপ্ন নিয়ে একটি সুন্দর কবিতা।”
(কবিতা আবৃত্তি করুন বা কাউকে দিয়ে করান।)
“কি গভীর আবেগ! কবিতা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়।”
নাটক বা স্কিট – একটি গ্রামীণ মেলা
অ্যাঙ্কর:
“এবার প্রস্তুত হোন একটি ছোট নাটকের জন্য, যেখানে দেখানো হবে কিভাবে গ্রামে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হয় – মেলা, মিষ্টি আর হাসি-খুশিতে ভরা! আমাদের ছোট্ট অভিনেতারা কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। সবাই তাদের স্বাগত জানাই!”
(নাটক শেষে)
“সবাইকে ধন্যবাদ! এতো মজার লাগছিল যেন সত্যি সত্যি গ্রামের মেলায় চলে গিয়েছিলাম!”
সমাপ্তি বক্তব্য – আন্তরিক ধন্যবাদ!
অ্যাঙ্কর:
“আর এইভাবেই আমাদের আজকের এই সুন্দর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হলো। আজ আমরা সবাই মিলে হাসি, গান, নাচ আর আমাদের বাংলা সংস্কৃতিকে উদযাপন করলাম।”
“সমস্ত শিল্পী, উদ্যোক্তা যারা এই অনুষ্ঠান সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া এই দিনটি এতটা স্পেশাল হতো না।”
“চলুন, আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি – আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখবো, ভালোবাসা ও সুখ ছড়িয়ে দেবো এবং প্রতিটি পয়লা বৈশাখকে আগের চেয়েও উজ্জ্বল করে তুলবো!”
“সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা! শুভ নববর্ষ! ভালো থাকুন, সুখে থাকুন এবং আগামী বছর আবার দেখা হবে!”